Ad Code

ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফকির নুরুজ্জামান বাদল ও ডাঃ মামুনের স্মৃতিচারণ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

গত ১৪/০৬/২০১৬ ইং রোজ শনিবার ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী পুনর্মিলনী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী জনাব ফকির নুরুজ্জামান বাদল স্যার ও প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থী মরহুম ডাঃ মামুনুর রশিদ মামুন এর অকাল মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পুনর্মিলনী পরিষদের আহবায়ক জনাব আলী আকবর বিএসসির সভাপতিত্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহবুব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারন করেন পুনর্মিলনী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা সাদেকুর রহমান সাত্তার,উপদেষ্টা রাজু আহমেদ,সদস্য সচিব নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহিনূর আলম সেলিম,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনারুজ্জামান ,সহকারী শিক্ষক খুরশেদুল আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব সিরাজ উদ্দীন সিরাজ, আতিকুল ইসলাম রিংকু, সমাজ সেবক তারেক হোসেন রিপন, রেজাউল হক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ,প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক(বাদল স্যারের ক্লাসমেট),সালামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মনিরুজ্জামান মহসিন,ঘাগটিয়া চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির মাষ্টার,আতাহার হোসেন মাষ্টার, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্য থেকে তোফাজ্জল হোসেন,আসাদুজ্জামান আসাদ,জাহাঙ্গীর আলম(ডাঃ মামুন এর ক্লাশমেট),রাসেল সরকার,আতিকুল ইসলাম প্রমুখ আলোচনা রাখেন। আলোচনায় বক্তারা স্মৃতিচারন করতে গিয়ে বলেন বাদল স্যার ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ,বিচক্ষণ ,দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন।তিনি যে কোন গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। তিনি সদা হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। তিনি কারো কোন সমস্যায়/কাজে বিরক্ত হতেন না বরং সুন্দরভাবে তা সম্পন্ন করে দিতেন।বিদ্যালয়ের যদি কোন কাজে প্রধান শিক্ষক সাহস না পেতেন সেই কাজ তিনি সাহসিকতার সাথে সম্পন্ন করতে পারতেন। উল্লেখ্য মৃত্যুর দিন সকালে তিনি বিদ্যালয়ে অফিস করতে আসেন হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করলে সহকারি প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক স্যারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে নরসিংদী ডাক্তার দেখাতে যান এবং হাসপাতালেই উনি মৃত্যুবরণ করেন।

৩০/১২/২০১৪ ইং রোজ মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকে ১৬ মাস আগে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন মেধাবী শিক্ষার্থী ডাঃ মামুনুর রশিদ মামুন মৃত্যু বরন করেন।তিনি অত্র বিদ্যালয়ের ১৯৯৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কাপাসিয়া উপজেলায় প্রথম হয়েছিলেন।উনি নটরডেম কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে তিনি বিসিএস ক্যাডার উত্তীর্ণ হন এবং সিলেটে ছিল উনার কর্মস্থল।উনি এই সভার সভাপতি আলী আকবর বিএসসি সাহেবের জ্যৈষ্ঠ পুত্র। উনি খুবই নম্র,ভদ্র,নামাজি ছিলেন।উনি মানুষের সেবা দিতে ভালবাসতেন।তিনি ছিলেন এলাকার মানুষের জন্য নিবেদিত প্রান।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন আমি বিদ্যালয়ে যখন জয়েন করি সহকারী শিক্ষক হিসেবে তখন পেয়েছিলাম বাদলদের ব্যাচকে আর যখন আমি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে জয়েন করি তখন পেয়েছিলাম এই মামুনদেরকে যখন তাদের নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিল।এই বিদ্যালয়ের জুনিয়র স্কলারশীপ পাওয়া শুরু হয় মামুনের মাধ্যমে। কেউ কোন সমস্যায় পড়ে ফোন দিলে মামুন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিত।উনার মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পরিবার ও এলাকার মানুষ ।উনি বেচে থাকলে সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারত।সমাজ দুইজন ত্যাগী মানুষকে হারাল একজন বিদ্যালয়ের আমৃত্যু সেবা দিয়ে গেছেন আরেকজন সমাজ ও দেশের সেবা করে গেছেন।উনাদের পরিবারের হাতে একটি করে জায়নামাজ তুলে দেন ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পুনর্মিলনী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা এস এম সাদেকুর রহমান সাত্তার।অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব আলী আকবর বিএসসি এর স্মৃতিচারনের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। সভা শেষে উনাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ঘাগটিয়া ছালামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মনিরুজ্জামান মহসিন ।

ছবি এলব্যাম দেওয়া আছে বিদ্যালয়ের পেইজে
ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়

Post a Comment

0 Comments