#ফকির মজনু শাহ সেতু
যা কাপাসিয়া উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর উপরে অবস্থিত।
এটি গাজীপুর জেলার বৃহত্তম একটি সেতু।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৯ মে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর উক্ত সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যাহা ৩৯০ দশমিক ৯১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ মিটার প্রস্থের, সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ১৫ কোটি টাকা। ২০০৫ সালের ৩ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটির মাধ্যমে ঢাকা-কাপাসিয়া-টোক-মঠখোলা-ইটাখোলা-কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেটের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।
#শীতলক্ষ্যা নদী
শীতলক্ষ্যা নদী (Shitalakshya River) পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন। গাজীপুর জেলার টোক নামক স্থানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে একটি ধারা বানার নামে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে লাকপুর নামক স্থানে শীতলক্ষ্যা নাম ধারণ করে বৃহত্তর ঢাকা জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শীতলক্ষ্যা কলাগাছিয়ার কাছে ধলেশ্বরী নদীতে পড়েছে। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ১১০ কিমি, প্রস্থ নারায়ণগঞ্জের কাছে ৩০০ মিটার, কিন্তু উপরের দিকে আস্তে আস্তে কমে গিয়ে হয়েছে প্রায় ১০০ মিটার। ডেমরায় সর্বোচ্চ ২,৬০০ কিউমেক প্রবাহ পরিমাপ করা হয়েছে। নদীটি নাব্য এবং সারা বছরই নৌ চলাচলের উপযোগী। শীতলক্ষ্যার ভাঙন প্রবণতা কম।
বাংলাদেশের এককালীন বিখ্যাত মসলিন শিল্প শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। বর্তমানেও নদীর উভয় তীরে প্রচুর পরিমাণে ভারি শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। অধুনালুপ্ত পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল ‘আদমজী জুট মিল’ শীতলক্ষ্যার তীরে অবস্থিত ছিল। এই নদীর তীরে ঘোড়াশালের উত্তরে পলাশে তিনটি এবং সিদ্ধিরগঞ্জে একটি তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যতম নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ বন্দর ও শহর এই নদীর তীরে অবস্থিত। শীতলক্ষ্যা তার পানির স্বচ্ছতা এবং শীতলতার জন্য একদা বিখ্যাত ছিল। বছরের পাঁচ মাস নদীটি জোয়ার-ভাটা দ্বারা প্রভাবিত থাকে, কিন্তু কখনোই কূল ছাপিয়ে যায় না।
0 Comments